ফলমূলে কি কেমিক্যাল দেয়া হয় যে একমাসেও পঁচে না? বর্তমানে এসব ফল টেস্ট করলে ফরমালিন পাওয়া যায় না?
ফর্মালিন দেয়ার প্রশ্ন ই আসেনা।
ফর্মালিন দেয়া হয় প্রোটিন জাতীয় খাবারে। যেমন মাছ, মাংস।
কিন্তু ফলমূলে ফর্মালিন দেয়ার প্রশ্ন ই আসেনা।
এগুলোতে মোমের কোটিং দেওয়া হয় যা খাবার যোগ্য। এই মোম আপনার কোন ক্ষতি করবে না। এটা ফলের রেসপিরেশন রোধ করবে। প্যাথজেন এর আক্রমণ থেকে ফলকে সুরক্ষিত রাখবে।
যে কোন ফল খাবার আগে ভালভাবে ধুয়ে নিবেন।
তারপর খাবেন।
উন্নত বিশ্বের কৃষি প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশ এখনো মান্ধাতা আমল থেকে বের হওয়ার চেষ্টায়।
একটা উদাহরণ দিই।
আপেলে প্রায় ৯৫-৯৭% পানি।
কোটিং না দিলে রেস্পিরেশন হয়ে অল্প সময়েই নস্ট হয়ে যায়। কিন্তু সেই আপেল কে মোমের কোটিং দিয়ে ৩-৪ মাস রাখছে। সেই অষ্ট্রেলিয়ায় উৎপন্ন আপেল এশিয়া আর ইউরোপের বাজার দখল করেছে।
অথচ আমাদের আম এ পানির % পরিমাণ এর চেয়ে অনেক কম। অন্যান্য উপাদান বেশি।
কিন্তু আমরা সামান্য ঢাকায় এনে ৪-৫ দিন ও রাখতে পারিনা।
আপনি পড়ছেনঃ ফলমূলে কি কেমিক্যাল দেয়া হয় যে একমাসেও পঁচে না?
কারন আমরা গাছ থেকে ফল পেড়ে নিয়ে আসা ছাড়া আর কিছু ই প্রসেসিং করিনা।
তাই আমরা বিশ্বে এতো বেশি উৎপাদন করলেও রপ্তানিতে এতো পিছিয়ে আছি।
উন্নত প্রযুক্তি গুলো দেশের কৃষি তে দ্রুত প্রসার করা না গেলে কৃষক ভাইয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত ই থেকে যাবে।
বেশি বেশি ফল খান।
আরো পড়ুনঃ মানুষ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য।, বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্য। বাংলাদেশ নিয়ে সাধারণ জ্ঞান।